অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দেশের বিরোধী দলনেতা,কিন্তু তার হয়ে বাংলায় প্রচারে আসলো না কংগ্রেসের কোন শীর্ষ নেতৃত্ব যা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের |
খড়গে সম্প্রতি দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে প্রচার করেছেন। সেখানে তিনি তৃণমূলকে রাজনৈতিক আক্রমণ করেন। যদিও বহরমপুরে অধীরের সমর্থনে প্রচার করতে দেখা যায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে।
আজ বহরমপুরে ভোট হয়ে গেল,অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মুখোমুখি ছিল তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান| দেশের বিরোধী দলনেতা হওয়ার সত্বেও কংগ্রেসের কোন বড় নেতৃত্বকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হয়ে প্রচার করতে বহরমপুরে আসেননি তার জন্য বারবার বিভিন্ন কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হচ্ছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী কে |
আমাদের রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটে লড়ছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে দেখা না মিললেও রাজ্যের সিপিআইএমের শীর্ষ নেতাদেরকে বহুদিন দেখা গেছে কংগ্রেসের হয়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে প্রচার করতে |
যেটা নিয়ে বারবার তৃণমূলের তরফ থেকে কটাক্ষ কংগ্রেসের দিকে আসছে|
অধীর চৌধুরী শুধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নন। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতাও বটে। অথচ তাঁর হয়ে নির্বাচনী প্রচার করতে একবারও বহরমপুরের মাটিতে পা রাখলেন না কেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অথবা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে? , এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সম্প্রতি দক্ষিণ মালদহ আসনে প্রচারে এসেছিলেন খড়্গে। সেখানে তৃণমূলকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করেন তিনি। তবে, বহরমপুরে অধীরের সমর্থনে প্রচারে দেখা যায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “৪ জুনের পরে তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার গড়ার চেষ্টা করতে হবে।
Source-anandabazar
তাই নিরন্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুবাক্য বলা অধীরের পাশে থেকে সম্পর্ক ঘোরালো করার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে কংগ্রেস। যতটা তিক্ততা হয়েছে, তার বেশি আর নয়।” তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “অধীর চৌধুরী যে নিশ্চিত ভাবেই হারছেন, সেই হিসাব কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় রয়েছে। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান জিতবেন। যে প্রার্থী হেরে যাবেন, সেখানে গিয়ে নিজেদের জামায় দাগ লাগাতে চায় না কংগ্রেস।”