16 ই মে বৃহস্পতিবার দুপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতে, বাজ পড়ে প্রাণ হারালো 13 জন |মালদায় এখনো পর্যন্ত 11 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে | জখম হয়েছে দুইজন ,মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
Image Source –ganashakti
মালদায় মৃতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র ছিল, মানিকচক থানা এলাকার | মৃতদের মধ্যে ৮ ও ১১ বছর বয়সী দুই নাবালিকা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর এলাকায়। দুজনের বাড়ি গাজল থানার আদিনা ও রতুয়া থানার বালুপুরে। দুই জনের বাড়ি ইংরেজবাজার এলাকায়। মানিকচক এলাকার বাসিন্দা ৩ জন। একজন হরিশচন্দ্রপুর একলার বাসিন্দা।
ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মৃতদেহগুলিকে মালদা এলাকার মর্গে আনার ব্যবস্থা করে।
এদিন বাজারের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক ব্যক্তি ও এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে পুরাতন মালদা ও মানিক ৩ জন। এছাড়া খোলাবাজার ও হরিশ্চন্দ্রপুরে ২ জন করে মারা গেছেন। গাজল ও রাতুয়া একজন করে নিহত হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম চন্দন সাহানি(৪০), রাজ মৃধা (১৬), মনোজিৎ মণ্ডল (২১), অসিত সাহা (১৯) এবং সুমিত্রা মন্ডল (৪৬), পঙ্কজ মণ্ডল (২৩), নয়ন রায় (২৩), প্রিয়াঙ্কা সিংহ রায় (২০), রানা শেখ (৮), অতুল মণ্ডল (৬৫) এবং সাবরুল শেখ (১১)। প্রথম তিনজনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর এলাকায়। পরের দুইজনের বাড়ি গাজোল থানার আদিনা এবং রতুয়া থানার বালুপুর এলাকায়। হরিশ্চন্দ্রপুরের নয়ন রায় প্রিয়াঙ্কা রায় এই দম্পতি জমিতে পাটের চাষ করার সময় বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন।
চন্দন, রাজ এবং মনোজিৎ আম বাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিলেন। অতুল মণ্ডল আম বাগান দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। বাজ পড়ে আহত হয়েছেন ফাতেমা বিবি (৩৫) এবং দুলু মণ্ডল (৪৫)। এদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বুধিয়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অসিত সাহা এবং রাজ মৃধা দুজনেই দশম এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্র। একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
মৃত মনোজিৎ মন্ডলের দাদা সঞ্জীব মন্ডল জানিয়েছেন, ‘‘এদিন দুপুরে তাঁর ভাইসহ তিনজন ভাটরা এলাকার ধানের জমিতে কাজ করছিলেন। বৃষ্টির জন্য তাঁরা একটি গাছের তলায় আশ্রয় নেয়। সেই সময় ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আচমকা বাজ পড়লে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার ভাই সহ তিনজনের।
গাজোলের আদিনা এলাকায় আমের বাগান থেকে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে অসিত সাহার নামে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। রতুয়া থানার বালুপুর এলাকার গৃহবধূ সুমিত্রা মণ্ডল মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান। আহতদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে প্রচণ্ড গরমের পর হঠাৎ বিকেলে আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টি নামে। তখনই বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।
এদিন মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আহত হয়েছেন ৩ জন। মৃত ব্যক্তির নাম শ্রীমন্ত ঘোষ। পাঁচগ্রাম ঘোষপাড়ার বাসিন্দা।
এদিন অন্যদের সঙ্গে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময় বসিয়ার বিল সংলগ্ন এলাকায় ব্রজপাত হয়। একসঙ্গে ছিলেন ৪ জন। চার জনই জ্ঞান হারান। আহত চিন্ময় ঘোষ বলেন, আকাশে মেঘ দেখে গ্রামে ফিরছিলাম। ছাতা খুলে এক যায়গায় ৪ জন ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। সকলেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। বাকিদের জ্ঞান ফিরতে দেখেন, মৃত্যু হয়েছে শ্রীমন্ত ঘোষের। আহতের চিকিৎসা চলছে পাঁচগ্রাম সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
এদিন বিকেলে মালদা জেলাশাসক নীতিন সিঙ্গানিয়া বলেন, ‘প্রতিটি ব্লক থেকে তদন্ত চলছে। মৃতের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়। এখনও অনুসন্ধান. বিশেষ অনুমতি নিয়ে রাতেই লাশের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করছি। প্রতিটি ব্লকের বিডিও পরিবার পরিদর্শন করছেন। মানসম্মত আচরণের নিয়ম প্রযোজ্য হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে। নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
Source- Ganashakti
(প্রিয় পাঠক তথ্যটি আমরা সংগ্রহ করেছি গণশক্তির সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা এর সত্যতা যাচাই করিনি)