Site icon BANGLA NEWS TIME

তৃণমূল-বিজেপিকে হারাবোই, মানুষ দেখেছে গত ৩৪ বছরে ঘুষ দিয়ে কাউকে চাকরি পেতে হয়নি – বান্দোয়ানে মীনাক্ষী

শুক্রবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বান্দোয়ান বিধানসভার বরাবাজারে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় মীনাক্ষী মুখার্জি সেখান থেকে তাকে বলতে শোনা যায় ‘দিন বদলের বাজনা বেজে উঠেছে। সারা রাজ্যের মানুষ জাগছে। মানুষ দেখেছে গত ৩৪ বছরে ঘুষ দিয়ে কাউকে চাকরি পেতে হয়নি। ৩৪ বছরে কোন মহিলাকে রাস্তায় ক্ষুর দিয়ে নিজের মাথা ন্যাড়া করতে হয়নি।মীনাক্ষী

সেই সুদিন আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ তৃণমূল বিজেপি জিতলে মা-বোনেদের তুলে নিয়ে যাওয়ার লাইসেন্স পাবে দুষ্কৃতীরা।

নির্বাচনী জনসভায় মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা তথা সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রার্থী সোনামনি টুডু, বান্দোয়ান বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী আহ্বায়ক মহম্মদ ইব্রাহিম। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিন্দ্র গোপ।জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মীনাক্ষী মুখার্জী বলেন, তৃণমূল বিজেপিকে যেমন করে হোক হারাবোই।

এখন মূল কাজ হচ্ছে বুথে বুথে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আগে আমরা দেখতাম কোথাও কোন পাড়ায় চোর ধরা পড়লে তাদের পাড়ায় বেঁধে রাখা হতো। আর এখন সেই চোরদের সন্ধ্যেবেলা দেখা যায় টিভির পর্দায়। তৃণমূল বলছে তারা বিজেপিকে টাট দেবে। আর বিজেপি বলছে তারা তৃণমূলকে টাইট দেবে। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, দই ভেবে কখনোই চুন খাবেন না। তাতে মুখ পুড়ে যাবে। এই মুহূর্তে লড়াইটা মা-বোনেদের সম্মান রক্ষার লড়াই। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর কি ছিল বান্দোয়ানে? সেই সময় স্কুল ছিল না, রাস্তা ছিল না।

বামফ্রন্ট সরকার আসার পর স্কুল হয়েছে, কলেজ হয়েছে, পলিটেকনিক হয়েছে। ওরা শুধু নীল সাদা রং করেছে। গড়ার কাজটা করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। মানুষ যে দায়িত্ব দিয়েছিল সেটা মাথা উঁচু করে পালন করেছিল।

মীনাক্ষী বলেন, দিনে টিএমসি আর রাতে মাওবাদী গুন্ডারা মিলেই এক সময় জঙ্গলমহল এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। কি করে ভুলে যাবো মহেন্দ্র মাহাতোর পরিবারের কান্না, কি করে ভুলে যাব রবীন্দ্রনাথ কর ও আনন্দময়ী করের পরিবারের কান্না। এখনো পোড়া মাংসের গন্ধ নাকে লেগে আছে। ১৩ জন কমরেডকে খুন করেছিল ওরা। জান কবুল করে ওদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে। রাজ্যের শাসক দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তৃণমূল ১০০ দিনের টাকা চুরি না করলে বিজেপি টাকা আটকাতে পারতো না।

গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে তৃণমূলের জন্যই। জঙ্গলমহলে কোন কাজ নেই, খাবার নেই। তৃণমূলের জন্যই জঙ্গলমহলের বেকাররা পরিযায়ী শ্রমিক হয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পাখিদের হাত থেকে জমির ফসল বাঁচানোর জন্য মানুষ জমিতে কাকতাড়ুয়া লাগায়। যেদিন থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ছবি লাগাতে শুরু করেছেন সেদিন রাজ্যের শিল্পপতিরা শিল্পায়নের প্রক্রিয়া থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। কারণ ওটা ছিল শিল্পতাড়ুয়ার ছবি।


প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশের গ্যারান্টি নেবেন। তিনি রাজ্যের নিজের দলের বিধায়কদেরই গ্যারান্টি দিতে পারেন না। সরকার হাসপাতালে টিবির ওষুধ দিতে পারেনা। সে কিভাবে মানুষকে সুস্থ রাখবে। আর দেশের সরকার ব্যস্ত মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে। সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন এদেশ কোন ধর্মের নয়। এদেশ কোন মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেয় না।

সংবিধান আদিবাসী সুরক্ষার কথা বলেছিল। দেশের কৃষক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সরকারকে পিছু হঠতে বাধ্য করেছিল। তৃণমূল এবং বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন দুটো দলই ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে টাকা নিয়েছে। রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। আর এরা এসে শিক্ষকের চাকরি আলু পটলের মত বিক্রি করেছে। চিটফান্ডের ডাকাতির টাকায় ক্ষমতায় এসেছিল রাজ্যের শাসক দল। জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করে আগামী নির্বাচনে সোনামণি টুডু কে জয়ী করার আহ্বান জানান মীনাক্ষী ।

সম্মানীয় পাঠক,আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি  ganashakti , এবং Facebook  ‘cpim west bengal ‘ সূত্র থেকে এর সত্যতা আমরা যাচাই করিনি |

Image source-Facebook

 

https://www.facebook.com/share/p/14LaFL3ZbPktoMcw/?mibextid=qi2Omg

Exit mobile version