Site icon BANGLA NEWS TIME

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM MODI ) সম্পদের পরিমাণ 3.02 কোটি টাকা ,কোনও বাড়ি বা গাড়ির মালিক নন

বারাণসীতে ভোট সপ্তম দফায়, ১ জুন। নরেন্দ্র মোদি বারাণসীর প্রার্থী। দেশে চতুর্থ দফা ভোট চলাকালীন, সোমবার তিনি তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে হলফনামা জমা দিলেন। তাতেই জানা গেল তাঁর সম্পত্তির হিসাব।


সোমবার, ১৩ মে, দেশে চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন মোদি ও নিজের হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর সম্পত্তির বিস্তারিত হিসাব।মোদী বারাণসীতেই বিজেপি প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীদের নিজের যোগ্যতা, সম্পত্তি, আয়কর রিটার্ন, ঋণ (থাকলে) এবং অপরাধের ইতিহাস (থাকলে)-এর বিশদ হলফনামার মাধ্যমে জানাতে হয় কমিশনের কাছে।

 

হলফনামায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.০২ কোটি টাকা, যার সিংহভাগই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ২.৮৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট থেকে তৈরি। গান্ধীনগর ও বারাণসীতে দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর মোট নগদ রয়েছে ₹ 80,304 এবং তাঁর হাতে রয়েছে ₹  52,920।

 

ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে বিনিয়োগ হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর ₹৯.১২ লক্ষ টাকা রয়েছে এবং ২.৬৮ লক্ষ টাকা মূল্যের চারটি সোনার আংটিও রয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে তাঁর আয় ছিল ১১.১৪ লক্ষ টাকা থেকে ২০২২-২৩ সালে ২৩.৫৬ লক্ষ টাকা |

 

২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী মোদির জীবন বিমার পলিসি ছিল ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৪৭ টাকার। এ ছাড়া তাঁর নামে কেনা ছিল কিছু শেয়ারও। ছিল ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৬ টাকার ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট। ২০২৪ সালের হলফনামায় অবশ্য বিমা বা শেয়ারের কোনও উল্লেখ নেই। মোদীর ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটের জমার অঙ্ক শুধু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯৮ টাকা।

 

তবে মোদীর ঘোষণা মতো তাঁর আয়ের সূত্র দু’টিই। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর বেতন এবং ব্যাঙ্কে জমা অর্থ থেকে আসা সুদ। মোদী হলফনামায় জানিয়েছেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ২৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮০ টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৭৯ টাকা আয়কর দিয়েছেন সেই উপার্জনের ভিত্তিতেই।

এ ছাড়া মোদীর হাতে নগদ রয়েছে ৫২ হাজার ৯২০টাকা। ৪৫ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার আংটিও রয়েছে। যার মূল্য ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫০ টাকা। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ২ লক্ষ  ৬ হাজার ৮৮৯ টাকার সম্পত্তি রয়েছে মোদীর।


শিক্ষা বিভাগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে তিনি ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন নেই |

 

আগের দিন বারাণসী কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দাখিল করে, যেখান থেকে তিনি তৃতীয় মেয়াদে সাংসদ হিসাবে প্রার্থী হতে চাইছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি অভিভূত এবং আবেগপ্রবণ। আমি বুঝতেও পারিনি কীভাবে আপনার স্নেহের ছায়ায় 10 বছর কেটে গেল। ‘আজ মা গঙ্গা নে মুঝে গোদ লে লিয়া হ্যায়’ (আজ মা গঙ্গা আমাকে দত্তক নিয়েছেন)।

বারাণসীতে লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন।

Source –Nd tv  

Source-Anandabazzar 

 

Exit mobile version