এ এন আই সূত্রের খবর ,বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে সন্দেশখালি নিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল তৃণমূল কংগ্রেস।
সন্দেশখালির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চাপে পড়ে যায় বঙ্গ–বিজেপি। গোটা সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল কে বলতে শোনা যায়পরিকল্পনার নাটের গুরু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরও বিজেপি নেতারা দাবি করে যাচ্ছেন এটা ভুয়ো। খোদ শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন এই ভিডিয়ো শুধু ফেক নয়, ডিপফেক।
কিন্তু আজ, “বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকল তৃণমূল কংগ্রেস।” শুভেন্দু–সহ আরও কজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়েছে, মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ করার জন্য। সন্দেশখালির বিজেপি নেতাদের সেই ভিডিয়ো তুলে ধরা হয়েছে।
গোটা বিষয়টি একটা সুন্দর সাজানো ষড়যন্ত্র এখন তা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় এখন বিজেপির অস্বস্তি চরমে পৌঁছে দিচ্ছে। তবে তিনজন মহিলা এবার সরাসরি এই দাবি করেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশ নোটিশ বাড়িতে দিতে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। কারণ ওই নোটিশে লেখা ছিল, তাঁরা ধর্ষিতা হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যে সাজানো অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতার মুখে। তৃণমূলের তরফ থেকে,সেটাই এবার তুলে ধরা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
এখন এই মহিলারা মিথ্যে মামলার অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চান বলে জানিয়েছেন। আর যিনি এই কাজ করিয়েছেন সেই বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি দাসের শাস্তি দাবি করেছেন। সন্দেশখালির মহিলাদের সম্ভ্রম নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর সপ্তমে চড়িয়ে রবিবার বলেছেন, “বাংলার মা–বোনেদের ইজ্জতকে অসম্মান করবেন না। মা–বোনেদের সম্মান চলে গেলে তা ফেরত পাওয়া যায় না। “আর এখানের মহিলারাই বলছেন তাঁদের সম্ভ্রম নিয়ে ছেলেখেলা এবং অপমান করা হয়েছে। তাই নালিশ জমা পড়ল কমিশনে।
এছাড়া আর এক অভিযোগকারিনী সংবাদ মাধ্যমে জানান,” তাঁর কথায়, ‘আমাকে সই করতে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পরে আমাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যেতে জানতে পারি অভিযোগ জমা পড়েছে ধর্ষণের। তখন ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, কোনও ধর্ষণের শিকার আমি হইনি। কোনওদিন রাতে আমাকে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসে যেতে হয়নি।” গঙ্গাধর কয়ালের সেই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেটাও তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে বলে সূত্রের খবর। যেখানে তিনি দাবি করছেন, শুভেন্দু অধিকারীই গোটা নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন।
লোকসভা ভোটে এর প্রভাব কতটা পড়তে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষণ করছে বুদ্ধিজীবীরা |