December 23, 2024

SSC আদালতকে জানিয়েছে যে মেধা তালিকার ভিত্তিতে প্রায় 19,000 নিয়োগ করা হয়েছে। এই ১৯ হাজার নিয়োগ বৈধ। SSC তার তালিকা পর্যালোচনার জন্য আদালতে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। -বলে জানাচ্ছে

সংক্ষেপে:ইতি মধ্যেই শর্ত সাপেক্ষে স্থগিতাদেশের ইঙ্গিত মিলেছে কোর্টের বক্তব্যে। লোকসভা ভোট পর্ব শেষে জুলাই মাসে পরবর্তী শুনানি করার কথাও বলা হয়েছে। তবে স্পষ্ট করে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এখন দেখার ‘সংক্ষিপ্ত নির্দেশে’ সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ কী কী বলে।

https://bengalanewstime.com/Image source-https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQHf1t_w7S8iiJSLieJZNo2ePMGbXW7WfnQ1Q&s

বিস্তারিত:
মঙ্গলবারের শুনানিতেও এই বিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যেকে।

সকাল সাড়ে দশটার কিছু পরেই সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছিল এসএসসির চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য এবং এসএসসির বক্তব্য শোনে। পাল্টা প্রশ্নও করে।

আদালত বার বার রাজ্যের কাছে জানতে চায়, কী উদ্দেশে সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়েছিল? জবাবে রাজ্য নানা যুক্তির পাশাপাশি আদালতকে জানায়, কোনও খারাপ উদ্দেশ্য জন্য ওই সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি হয়নি। বরং ওই পদে বেআইনি নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের রাখা হবে না বলেই জানানো হয়েছিল।

একই সঙ্গে এ ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্ট মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও যথাযথ নয় বলে দাবি করে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। বরং তিন বিচারপতিকে রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা যায়। (তিন বিচারপতি -ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্র)

রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত। আদালতকে এসএসসি জানিয়েছিল, চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। পাল্টা সুপ্রিম কোর্ট এসএসসির কাছে জানতে চায়, ওএমআর শিট স্ক্যানিং করার জন্য যথাযথ ভাবে টেন্ডার ডাকেনি কেন এসএসসি? আদালত প্রশ্ন করে, ‘‘এত সব গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য অন্য সংস্থার হাতে তুলে দিলেন আপনারা। এটা কি আপনাদের দায়িত্বশীল কাজ? টেন্ডারের জন্য কত জনকে ডেকেছিলেন? আপনারা সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। অথচ যথাযথ ভাবে টেন্ডার ডাকেননি কেন?’’

image source- alamy.com

শুধু তা-ই নয় এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জালিয়াতি করেছে বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসিকে আদালত বলে, ‘‘এত দিন তা হলে তথ্য জানার অধিকারে যা যা বলতেন, সে সব মিথ্যা ছিল?’’
চাকরিহারাদের আইনজীবী প্রতীক ধর বললেন, ‘‘ওএমআর শিটের যে তথ্য সিবিআই হাতে পেয়েছে তাতে ৬৫বি এভিডেন্ট অ্যাক্ট প্রমাণ করা হয়নি।
‘‘সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর শিটের কোনও আইনি বৈধতা নেই। ৬৫ বি এভিডেন্স আইন অনুযায়ী বৈদ্যুতিন তথ্যের কোনও সার্টিফিকেট নেই। অথচ এক কথায় ২৬ হাজার চাকরি চলে গেল। তাঁর যুক্তি, ৬৫বি আইনের ধারা মেনে শংসাপত্র না থাকলে প্রযুক্তির দিক থেকে এর বড় প্রভাব পড়তে পারে।’’

প্রধান বিচারপতি বললেন, ‘‘আপনি কি বলছেন ওই ওএমআর শিট ঠিক নয়?  
আইনজীবী: সেটা না। তদন্তে সবটা প্রমাণিত হয়নি। আমাদের প্রশ্ন, তদন্তে প্রমাণ হওয়ার আগেই কী করে এত হাজার চাকরি বাতিল হয়ে গেল?

চাকরি হারাদের আইনজীবী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন
প্রধান বিচারপতি তাকে এই বলে থামিয়ে দেন যে আমরা মনে হয় মামলার মূল বিষয়ে ফোকাস করা উচিত

স্থগিতাদেশ হবে নাকি হবে না:সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে, তাতে অনেকেই মনে করছে শর্ত সাপেক্ষে স্থগিতাদেশের পক্ষে কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করার প্রশ্নেও বিচারপতিরা বলেছেন, তাঁরা যোগ্য এবং অযোগ্য দের আলাদা করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

রাত পার হলেই উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট আউট, কী ভাবে করবেন মার্কশিট ডাউনলোড?/ WB-HS -uccha-madhyamik-result-2024

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *