সাত মাস ধরে যুদ্ধ অনবরত চলছে ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজস্ব জমি ফেরত নিতে চাইছে ইজরায়েল আমেরিকার সহ কিছু পশ্চিমী দেশের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা করছে বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে|35 থেকে 37 হাজার মানুষ মারা গেছে গুরুতরভাবে অসুস্থ প্রায় 2 লক্ষ্যের কাছাকাছি বা তার বেশি |ইজরায়েলের এই গণহত্যার প্রতিবাদ করছে সারা বিশ্ব ,স্পেন ও তাদের মধ্যে অন্যতম |ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে|
আজ সারা বিশ্বে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কিন্তু ভারত সেই অবস্থায় তাদেরকে অস্ত্র পাচার কিভাবে করতে পারে তাও চোরাপথে সেটা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে|
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে টার্গেট করে ইসরায়েল সেখানকার সাধারণ জনগণকে মারছে বলে অভিযোগ নিয়ে কেস আন্তর্জাতিক কোর্ট অফ জাস্টিস এ চলছে |
ইজরাইল বছরের পর বছর ধরে হত্যা ও জোর দখল করে আসছে ফিলিস্তিনিদের উপর,যার ফলস্বরূপ হামাসের মত সশস্ত্র গোষ্ঠী গুলি স্বাধীনতা জন্য লড়ছে|
ইজরাইল প্রতিদিন গণহত্যা করছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলি জানাচ্ছে|ভারত বরাবরই নিরপেক্ষ অবস্থান রেখেছে|তবে তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের জন্য সহমত দেয়|
কিন্তু সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েল প্রসঙ্গে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে।
যুদ্ধে সহযোগিতার স্বরূপ টনটন অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত বলে অভিযোগ এনেছে স্পেন|স্পেন উপকূলে ভারতের অস্ত্রবাহী জাহাজকে আটকে দেওয়া হয়েছে|
ড্যানিশ পতাকাবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েল যাচ্ছিল। জাহাজটি ভারতের চেন্নাই বন্দর থেকে ছেড়েছে। উল্লেখ্য, ভারত থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পরিবহনের জন্য চেন্নাই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর।স্পেনে পৌঁছে সেই জাহাজের নাবিকরা জাহাজটিকে ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন স্প্যানিশ উপকূলে নোঙর করতে চেয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল স্পেনে বিশ্রাম, জ্বালানি ভরে আবার রওনা হবে।
স্পেন তাতেই ‘না’ করে দিয়েছে। তাদের বিদেশমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো বলেছেন, ‘‘আমরা এই প্রথম কোনও বিদেশি জাহাজকে ‘না’ বলেছি। কারণ, এই জাহাজে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা আরও জানতে পেরেছি যে অস্ত্রগুলি ইজ়রায়েলে পাঠানো হচ্ছে।’’
বুয়েনো জানিয়েছেন, গত ২১ মে জাহাজটি স্পেনের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি চেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে অন্য যে কোনও দেশের যে কোনও জাহাজকে একই কারণে আটকাবে স্পেন। এটাই আমাদের নীতি। কারণ, পশ্চিম এশিয়া শান্তি চায়, আর অস্ত্র চায় না।’’
গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭ টন অস্ত্র ওই জাহাজে করে চেন্নাই থেকে ইজ়রায়েলে পাঠানো হচ্ছিল। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কোনও সূত্র এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। তাদের বক্তব্য একটাই, কোনও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়নি ভূমধ্যসাগরে। এ বিষয়ে ইজ়রায়েলেরও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রথম থেকেই গাজ়ায় ইজ়রায়েলের যাবতীয় হামলার বিরোধিতা করে এসেছে স্পেন। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে তারা।
যুদ্ধের শুরুতেই ইজ়রায়েলে অস্ত্র বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছিল স্পেন। সেই সঙ্গে প্যালেস্টাইনের স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও তারা বলেছে বার বার। অর্থাৎ, প্রথম থেকেই স্পেন ইজ়রায়েলিদের বিরুদ্ধে।
পশ্চিম এশিয়ার দ্বন্দ্বে ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও ইজ়রায়েলের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ইজ়রায়েলের থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে ভারতই। সেই সূত্রেই ভারত থেকে অস্ত্রশস্ত্রের উপাদান ইজ়রায়েলে যাচ্ছিল কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ।
অন্য একটি সূত্রে অভিযোগ, ভারত ‘গোপনে’ অস্ত্র সরবরাহ করতে চাইছে ইজ়রায়েলে। কারণ, ভারত থেকে ইজ়রায়েলে যাওয়ার সহজ পথ না নিয়ে ঘুরপথে জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
লোহিত সাগরীয় অঞ্চল দিয়েই সমুদ্রপথে ইজ়রায়েলে যাওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু চেন্নাই থেকে রওনা দিয়ে জাহাজটি সেই পথ নেয়নি বলে দাবি। কেন ঘুরপথে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইজ়রায়েলে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছিল, উঠেছে সেই প্রশ্নও।
এখানকার কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে-anandabazar সংবাদ মাধ্যম থেকে|