লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলে দিলেন 50 জন মহিলারা ইউসুফ পাঠান কে ,১৩ মে বহরমপুরে ভোট । 11 তারিখে শেষ পর্বের প্রচার। শেষ প্রচারের ৪৮ ঘণ্টা আগে রোড-শোতে দুই পাঠানকে নিয়ে প্রচারের ঝড় তুলতে চায় তৃণমূল। ইরফান পাঠানের আগমনের খবরে বহরমপুরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে যেমন উত্তেজনা বেড়েছে, তেমনি এলাকার ক্রিকেটপ্রেমীরাও তাকে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।
ভাই ইরফান 9 তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের জন্য রোড শো করতে করতে আসছে । প্রসঙ্গত, দলীয় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে বুধবার বহরমপুরে রোড-শো করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। ওই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ারের অস্থায়ী হেলিপ্যাড থেকে প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে জড়িয়ে ধরেন অভিষেক।
এরপর সেখান থেকে রোড-শো শুরু করেন তারা। হাইভোল্টেজ বহরমপুর এখন পাখির চোখ তৃণমূল।
নির্বাচনের উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে একটি মহল বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এ অবস্থায় মুসলিম প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের প্রতি হিন্দু মা-বোনদের এই ‘ভালোবাসা’ই ভালোবাসার বার্তার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে সবাই মনে করছেন।
ইউসুফ পাঠান বলেন, এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে না পারলে প্রভুর (স্রষ্টা) কাছে মুখ দেখাব কী করে |
এ দিন আইজুদ্দিন মণ্ডল বলেন, ইউসুফ আসছে শুনে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আমাকে বলেন, আমরা তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারের জন্য এক মাসের লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা দিতে চাই। আমি মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছার (এক মাসের লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা দিতে )সাথে হস্তক্ষেপ করিনি। সভা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে সবিতা ভাদুড়ী, সুরুবালা দাস, শ্যামলী হাজরা, মর্জিনা বিবি, খালিদা বিবি, সোনাভান খাতুনের মতো পরিবারের মহিলারা সূর্যকে উপেক্ষা করে ইউসুফের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
হাজিপাড়ার বাসিন্দা মেরিনা বিবি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের বারো মাস লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা দিচ্ছেন। আমরা আমাদের প্রার্থীকে একমাসের টাকা দিলাম।’
দ্রব্যমূল্যের উচ্চমূল্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সামান্য 500-1000 টাকাও অনেক আত্মবিশ্বাস দেয়। রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মী ভান্ডারও সেই ট্রাস্টের ‘হাত’। অর্থ একটি বিপজ্জনক সঙ্গী। মহিলারা সেই টাকা ইউসুফ পাঠানকে দেন। প্রায় ৫০ জন মহিলা তৃণমূল প্রার্থীদের হাতে টাকা তুলে দেন (লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের)। ওবিলায় ছক্কা মেরে প্রায় হাজার ভক্তের সামনে ভালোবাসার উপহার দিয়ে কেঁদে ফেলেন এই ক্রিকেটার। তাকে দেখে উপস্থিত নারীদের চোখে পানি চলে আসে।
মহিলারা তাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে বলেছিলেন। ইউসুফ পাঠান অশ্রুতে ভিজানো গলা আর হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে বললেন, ‘উনহোনে জো ইতনা পিয়ার দিখাইয়া… উনকা এহেসান ম্যায় ক্যায়সে চুকা পাউঙ্গা (তারা যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, আমি জানি না কীভাবে? তাদের এই ঋণ শোধ করুন!) শুক্রবার বিকেলে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডল। ইউসুফ পাঠানের নেতৃত্বে রাজধারপাড়া নেতাজি সংঘ মাঠে জনসভা ও রোড শোর আয়োজন করা হয়।